নীলফামারীর কিশোরগঞ্জের গাড়াগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে মো. রুবেল (৩৫) নামে এক বিজিবি সদস্য নিহত হয়েছেন।
সংঘর্ষের ঘটনায় আরও অন্তত ১৫-২০ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ছয়জনের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা।
নীলফামারী জেলা নির্বাচন অফিসার ও নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মেহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রোববার বিকেলে ভোটগ্রহণ শেষের দিকে গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কেন্দ্রে লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী মারুফ হোসাইন ও আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী জনাব আলীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অ্যাকশনে যায়। এসময় রুবেল নামে এক বিজিবি সদস্যকে বেধড়ক মারপিট করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘নিহত বিজিবি সদস্যের ঘাড়ে লাঠি ও লোহার রড দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে গাড়িতে করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান। এ ঘটনায় আহত ছয়জনের অবস্থা গুরুতর। তারা চিকিৎসাধীন।’
জেলার রিটার্নিং কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘গাড়াগ্রামে কেন্দ্রদখল নিয়ে মারুফ হোসাইন ও জনাব আলীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করতে গিয়ে বিজিবি সদস্য রুবেল নিহত হয়েছেন।’