ঘরের মাঠে রোববার বুন্ডেসলিগার ম্যাচটি ৪-২ গোলে জেতে ডর্টমুন্ড। ২১ বছর বয়সী হলান্ড এই প্রতিযোগিতায় এখন পর্যন্ত ৪৮ ম্যাচে করেছেন ৪৭ গোল।
ম্যাচের শুরুতে রাফায়েল গেররেরোর দর্শনীয় গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর হেডে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন হলান্ড। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে প্রতিপক্ষের আত্মঘাতী গোলে স্কোরলাইন হয় ৩-০। এরপর দুই গোল শোধ দিয়ে লড়াই জমিয়ে তোলে ইউনিয়ন বার্লিন।
নির্ধারিত সময়ের সাত মিনিট বাকি থাকতে দারুণ এক গোলে সব অনিশ্চয়তার মোটামুটি ইতি টানেন হলান্ড। নিজেদের অর্ধ থেকে সতীর্থের বাড়ানো বলে দারুণ ভলিতে গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে জাল খুঁজে নেন তিনি।
আসরে পাঁচ ম্যাচে হলান্ডের গোল হলো ৭টি। মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে আট ম্যাচে তার গোল ১১টি।
একটা সময়ে হেডে দুর্বলতা ছিল তার। গত মৌসুমে যেমন লিগে হেডে গোল করেছিলেন কেবল দুটি। সেখানে এই মৌসুমে পাঁচ ম্যাচেই হলো দুটি।
মাটস হুমেলস ও আর্লিং হলান্ড
ইউনিয়ন বার্লিনের বিপক্ষে হলান্ড হেডে গোল করার পর তাই অবাক হুমেলস। স্পোর্টস স্ট্রিমিং সার্ভিস ‘ডিএজেডএন’-কে তিনি বলেন, চলতি মৌসুমে আরও বেশি গোল করবেন নরওয়ের এই ফুটবলার।
“সে কি সত্যিই আজ হেডে গোল করেছে? এটি নিয়ে সে অনেক অনুশীলন করেছে। তার অনেক শক্তির জায়গা আছে, এখন সে তার দুর্বলতা নিয়েও কাজ করছে।”
“অবশ্যই সে এই মৌসুমে আরও ১০টি গোল বেশি পেতে যাচ্ছে। কারণ, সে তার খেলায় উন্নতি করেছে। সে স্রেফ একটা গোল মেশিন।”
অস্ট্রিয়ার ক্লাব সালসবুর্কে এক বছরের ছোট্ট অধ্যায়ে নিজের জাত চেনানো হলান্ডকে গত বছরের শুরুতে দলে টানে ডর্টমুন্ড। নতুন ঠিকানায় মানিয়ে নিতে একেবারেই সময় নেননি তিনি। বুন্ডেসলিগার ক্লাবটির হয়ে অভিষেক ম্যাচে বদলি নেমে করেন হ্যাটট্রিক। এরপর থেকে নিয়মিত সামর্থ্যের ঝলক দেখিয়ে হয়ে ওঠেন দলটির আক্রমণভাগের মূল অস্ত্র।
জার্মান ক্লাবটির হয়ে এখন পর্যন্ত সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৬৭ ম্যাচে হলান্ড করেছেন ৬৮ গোল। হুমেলসের মতে, বিশ্বের সেরা ফরোয়ার্ডদের একজন হতে যাচ্ছেন এই তরুণ সেনসেশন।
“যখনই সে জালে বল পাঠানোর সুযোগ দেখে, তার চোখ জ্বলজ্বল করে ওঠে। আগামী ১৫ বছরের জন্য বিশ্বের সেরা ফরোয়ার্ডদের একজন হতে চলেছে সে।”
এই মাসের আন্তর্জাতিক বিরতিতে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে জাতীয় দলের হয়েও তিন ম্যাচে হ্যাটট্রিকসহ পাঁচ গোল করেন হলান্ড।