করোনাভাইরাসের টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো এসএমএস লাগবে না গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী মায়েদের। নিবন্ধনের পর সুবিধাজনক যেকোনো সময়ই টিকাকেন্দ্রে গিয়ে তারা টিকা নিতে পারবেন।
আজ রোববার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিন অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয়। বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মাতৃ, নবজাতক ও শিশুস্বাস্থ্য কর্মসূচির পরিচালক মো. শামসুল হক এসব তথ্য জানান। বুলেটিনে করোনার টিকাবিষয়ক বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরা হয়।
শামসুল হক বলেন, ‘গর্ভবতী মায়েদের টিকাগ্রহণের ক্ষেত্রে আমাদের যে আগের নিয়ম ছিল সিটি কিছুটা পরিবর্তন করে নতুন করে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এখন থেকে টিকার নিবন্ধনের পরই একজন গর্ভবতী নারী এসএমএস না পেলেও সে তার পছন্দমতো সময়ে নির্ধারিত কেন্দ্রে গিয়ে টিকা নিতে পারবেন।’
তিনি বলেন, গর্ভবতী মায়েরা টিকা গ্রহণের পূর্বে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ কার্ড নিয়ে যেতে হবে। এমনকি টিকাকেন্দ্রে গিয়ে সম্মতি পত্রের স্বাক্ষর করে তিনি টিকা নিতে পারবেন। দুগ্ধদানকারী মায়েদের ক্ষেত্রেও এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে।
তিনি বলেন, ৭ সেপ্টেম্বর থেকে ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্পেইনের দ্বিতীয় ডোজের টিকা প্রয়োগ শুরু হবে। এক্ষেত্রে যে যেই কেন্দ্রে প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন, তাকে সেই কেন্দ্র গিয়েই দ্বিতীয় দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিতে হবে। এক্ষেত্রে অবশ্যই সকলকে টিকা কার্ড নিয়ে আসতে হবে। ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্পেইনের দ্বিতীয় ডোজের জন্য ইতোমধ্যেই বিভিন্ন জেলাগুলোতে পর্যাপ্ত সংখ্যক টিকা পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা চলছে। আমরা আশা করি আজ-কালকের মধ্যেই সকল জায়গায় আমাদের টিকা পৌঁছে যাবে।
শামসুল হক বলেন, দ্বিতীয় ডোজের টিকা ক্যাম্পেইনের সময়ে আমাদের নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচিও চলবে। নির্ধারিত কেন্দ্রগুলোতে প্রথম এবং দ্বিতীয় টিকা আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীরা দেবেন।
টিকা কর্মসূচির পরিচালক বলেন, বিগত সময়ে ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্পেইনে একদিনে আমরা ৩০ লক্ষাধিক মানুষকে টিকা দিয়েছি। নিঃসন্দেহে এটি একটি বিরাট কর্মযজ্ঞ। পূর্বের তুলনায় দ্বিতীয় ডোজের ক্ষেত্রেও আমরা সফলভাবে টিকা কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবো। তবে এক্ষেত্রে যারা টিকা নিতে আসবেন, তারা সবাই যদি সুশৃঙ্খলভাবে টিকা নিতে আসে, তাহলে কোন ধরনের সমস্যা হবে না।