ঢামেক হাসপাতালে নিউরো সার্জারির ডাক্তার পীযূষ কান্তি মিত্রের বিরুদ্ধে অপারেশনের জন্য বাহির থেকে ইন্সট্রুমেন্ট আনতে হবে বলে রোগীর কাছ থেকে নগদ অর্থ নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ করেছেন মোছাঃনাজিফা আক্তার(০৪) নামের এক শিশুর স্বজনেরা।
রোগী নাজিফার পিতাঃ মোঃ খোরশেদ আলম,আটি বাজার,কেরানীগঞ্জ, ঢাকা তিনি অটো পার্টস মবিল ব্যবসায়ি। রোববার দুপুরে শিশুটি একতলা ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পেয়ে আহত হয়। পরে গত কাল বিকেলেই তাকে ঢামেকে ভর্তি করা হয়।
ঢামেক হাসপাতাল নিউরোলজি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ওই শিশুটির পিতা মোঃ খোরশেদ আলম অভিযোগ করে বলেন, মাথায় আঘাত পাওয়ার কারণে রোববার দিবাগত রাতেই ইমার্জেন্সি অপারেশন করা লাগবে। ডাক্তার পীযূষ কান্তি তাকে বলেন, অপারেশনের জন্য বাহির থেকে মেশিন ভাড়া করা লাগবে।এই বলে রোগীর বাবার কাছে দশ হাজার টাকা দাবি করেন। তিনি দশ হাজারটাকা না দিতে পেরে আট হাজার টাকা দিয়েছেন।
এরপরে শিশুটির অপারেশন হয়। বর্তমানে শিশু নাজিফা সুস্থ আছে। সে ঢামেকের ২০৪ ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ঢামেক হাসপাতালে অপারেশনের জন্য কোন টাকা লাগে না বলে বিষয়টি জানতে পেরে তিনি পরিচালক বরাবর ডাক্তার পীযূষ কান্তির নামে একটি অভিযোগ দাখিল করেন বলে জানান। পরবর্তীতে ওই ব্যক্তির সঙ্গে সোমবার দুপুরে কথা হলে তিনি আরো বলেন,আগামী কাল টাকাটা আমাকে ফেরত দিতে চেয়েছেন।
অপর এক রোগীর কাছ থেকেও এই চিকিৎসক অপারেশন বাবদ আরও দশ হাজার টাকা নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই রুগির নাম মোঃ গজনবী(৪০) তিনি চকবাজারে একটি প্লাস্টিক কারখানায় কাজ করেন। গতকাল দুপুরে সিলিং ফ্যান তার মাথায় পড়ে আঘাতপ্রাপ্ত হন। পরে তাকে ঢামেক হাসপাতালের নিউরো সার্জারিতে ভর্তি করা হয় জানিয়েছেন আহতের ভাতিজা মোহাম্মদ জুয়েল।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, গতকাল আমার তার চাচার,রাতেই অপারেশন করতে হবে বলে ডাক্তার পীযূষ কান্তি জানিয়েছেন। তখন তিনি বলেন, অপারেশনের জন্য হাঁড় কাটতে বাহির থেকে একটি মেশিন ভাড়া করে আনতে হবে। সেই জন্য টাকা লাগবে এটা আমাদের হাসপাতালে নেই। মেশিন ভাড়া দিতে হবে ২০ হাজার টাকা। পরবর্তীতে দ্বিতীয় দফায় বলেন১৫ হাজার টাকা দিলেও হবে। পরে তারা ডাক্তারকে ১০হাজার টাকা দেন এবং অপারেশন সম্পন্ন করা হয়।
পরবর্তী চিকিৎসক বলে রোগীকে আইসিইউতে নিতে হবে। তখন ধানমন্ডির একটি ক্লিনিকে নাম্বার দেয়। বলে সেখানে গেলে সাশ্রয়ী মূল্যে নিবে ঐ হাসপাতাল। পরে তারা সেখানে রোগীকে না নিয়ে সোমবার সকাল ৯টায় ধানমন্ডির অন্য একটি ক্লিনিকে নিয়ে যান। তিনি আরো বলেন, যে মেশিনটি বাহির থেকে আনা হয়েছিল সেটি কাজে লাগেনি জানতে পেরেছি।
এ বিষয়ে নিউরোসার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডাক্তার পীযূষ কান্তি মিত্রের মোবাইল ফোন দিলে এক জন ফোন ধরে বলেন সে ওয়াশরুমে আছে। পরবর্তীতে আরো কয়েকবার ফোন দিলে তার নাম্বার ব্যস্ত ও পরবর্তীতে বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে ঢামেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃনাজমুল হক এর সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, এমন ঘটনা শুনেছি।স্বজনরা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তবে আমি এখনো সেটা হাতে পাইনি ।পরবর্তীতে বিষয়টি জেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।